সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আছিয়া বেগম (৫০) এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা হত্যার অভিযোগে দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামি নুর আহমদ (৫৮) এর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের ম্যাজিস্টেট আব্দুল আলিম তার জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হত্যা মামলা আসামি নুর আহমদকে সোমবার সকালে জগন্নাথপুর থানা থেকে সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নুর আহমদের বড় মেয়ে সাবিনা বেগম (৩২) জানান, আমার বাবার বাড়ীর ঘটনা আমি জানিনা। গলাকাটা হয়েছে জেনে সেখানে গিয়ে আমার স্বামী সহ লোকজন হাসপাতালে আমার মাকে নিয়ে যায়। গতকাল থেকে আমার বাবার বাড়ীতে থাকা একমাত্র ছোট ভাই আমার কাছে আছে। আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়েছিল স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিছে এখন সে সৌদি আরবে থাকে।
আরও দুই ভাই কাজের জন্য দুই জায়গা বসবাস করতেছে। আমার বাপের বাড়ীতে ছোট ভাই ও মা, বাবা থাকতেন। নুর আহমদের ছোট ছেলে খালেদ মিয়া (১০) জানান, আমি সকালে ঘুমে ছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাবা রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছেন। পরে আমি জানতে পারি আমার মাকে গলাকাটা হয়েছে। এর পর থেকে ভয়ে আর আমাদের বাড়ীতে যাচ্ছিনা। আমার আপার বাড়ীতে আছি। গত কয়েক দিন আগে আমার বোনের টাকা নিয়ে বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
হত্যা মামলার বাদী মো. মফিজ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে ফোন ধরে বলেন আমার বাবা জগন্নাথপুরে আছেন। সন্ধার পর বাড়ীতে আসতে পারেন। যাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি আমার ফুফু এর হত্যার বিচার চাই। উল্লেখ যে, রোববার সকালে উপজেলার পাইলগাঁও (রানীনগর) গ্রামেআছিয়া বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় খুন হওয়া নারীর স্বামী নুর আহমদকে (৫৮) আটক করেছিল পুলিশ। ঘটনার সাথে উদ্ধার করা হয়েছিল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।